ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় সাপের কামড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক গৃহবধূ ছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী রয়েছেন। নিহতরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের চৌটাকী গ্রামের আকালু চন্দ্রের মেয়ে সুভাত্রা (৯) ও পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া নিটাল ডোবা এলাকার জয়নালের স্ত্রী শাহারা বানু (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৬ জুলাই) রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল শিশু সুভাত্রা। হঠাৎ ব্যথা অনুভব করলে শিশুটি তার মাকে বলে কী যেন তাকে কামড় দিয়েছে। পরে শিশুটির মা দেখেন ঘর থেকে একটি সাপ বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে কী সাপ সেটা তিনি বলতে পারেননি। পরে ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে ভোর ৫টার দিকে মারা যায় সুভাত্রা।
অপরদিকে, রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বাড়িতে কাজ করার সময় শাহারা বেগমকে সাপে কামড় দেয়। পরে রাত ৮টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) জানান, সাপে কামড়ানোর ৭ ঘণ্টা পর গৃহবধূকে হাসপাতালে এনেছিলেন স্বজনেরা। এন্টিভেনম দেয়ার পর আমরা দিনাজপুরে রেফার্ড করেছি। আর ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেনি স্বজনরা। পরিবারগুলো সচেতন হলেই তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছার জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম থাকলেও সাপে দংশনের পর স্বজনেরা আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে আসছে না। এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।