27 C
Dhaka
Tuesday, September 17, 2024

নতুন প্রধান বিচারপতির সামনে ৫ চ্যালেঞ্জ, বলছেন আইনজীবীরা

বিচার বিভাগের সব খাতে সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা বলছেন, মামলার জট কমানো, আস্থা ফেরানো, দুর্নীতি ও হস্তক্ষেপমুক্ত রাখাসহ নতুন প্রধান বিচারপতির সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলছেন, বিচার বিভাগকে সিন্ডিকেটমুক্ত রাখতে, বিচারপ্রার্থীর আস্থা ফেরাতে এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে চলছে রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের আলাপ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় বিচার বিভাগ নিয়ে। কেন না আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে বিচার বিভাগকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। এছাড়া নানা কারণে মানুষের-আস্থা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থলের ওপর আস্থায় চিড় ধরে বিচারপ্রার্থীর।

আরো পড়ুন  ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট চুক্তি বাতিলের দাবিতে আইনি নোটিশ

শনিবার (১০ আগস্ট) আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরও পাঁচ জন বিচারপতি। সঙ্গে সঙ্গে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে ২৫তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রোববার (১১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয় শপথ।

আইনজীবীরা বলছেন, মামলার জট কমানো, আস্থা ফেরানো, দুর্নীতি ও হস্তক্ষেপমুক্ত রাখাসহ নতুন প্রধান বিচারপতি সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ।

হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান সময় সংবাদকে বলেন,
নির্বাহী বিভাগ বিশেষ করে আইন মন্ত্রণালয় দ্বারা শৃঙ্খলিত ছিল বিচার বিভাগ। এছাড়া ছিল দলীয় আনুগত্যের সংস্কৃতি। এখন মূল চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, এগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দেয়া।

আরো পড়ুন  ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন,
বিচার বিভাগে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সেটা স্বচ্ছ হওয়া দরকার। যারা বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, তারা যেন স্বচ্ছতা এবং আইনানুগ আচরণটা অব্যাহত রাখেন। সেই জায়গাটা নিশ্চিত করা দরকার।

অ্যাটর্নি জেনারেলের আশা, আস্থা ফেরাতে এবং প্রভাবমুক্ত রাখতে বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজাবেন প্রধান বিচারপতি।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন,
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক। এই পুনর্জন্মকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গেলে তারা এই সংবিধানকে সমুন্নত রাখবেন, রক্ষা করবেন এই শপথ নিতে হবে। সেখানে তাদেরকে মানসিকভাবে সচেতনতা উন্নত করতে হবে।

আরো পড়ুন  বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তি: কত মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শুধু স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করায় নয়, ভবিষ্যতে যাতে কেউ স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য দরকার সাংবিধানিক সংস্কার।

সমন্বয়ক তাহমিদ বলেন,
সংবিধানের একটি যৌক্তিক সংস্কার করা উচিত, যতে পরবর্তীকালে স্বৈরাচার তৈরি হতে না পারে। বহুদলীয় গণতন্ত্র যেন আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। এখানে যেন কোনো একক দলের প্রাধান্য না থাকে বা একক দলের প্রাধান্য থাকলেও যেন কেউ স্বৈরাচারে রূপান্তর হতে না পারে।

শুধু বিচার বিভাগই নয়, সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ সংবাদ