ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
সবশেষ রোববারও (১১ আগস্ট) এই পদত্যাগের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন অনেকে। এদিন পদত্যাগ করেছেন ১৬ জন আর পদোন্নতি হয়েছে দুজনের।
পদত্যাগ করলেন যারা
> শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
> ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
> শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দুপুরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম।
> জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম, শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ তাজউদ্দীন সিকদার, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ সুকল্যাণ কুণ্ডু পদত্যাগ করেছেন। সবাই পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন।
> বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, কোষাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মোস্তারি, পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
> শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও সিনিয়র শিক্ষক ফারহানা খানমও পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে, রোববার দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন:
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফকে নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। এই পদে থাকা অতিরিক্ত সচিব মো. নাজমুছ সাদাত সেলিমকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার। এর আগে তিনি ২০২৩ সালের ২ জুলাই ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব নেন।