প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির পর তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের ব্যাটিং আক্রমণে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের ভারত রীতিমতো স্টিম-রোলার চালিয়ে ১৫০ রান পার করেছে স্বাগতিকরা। বিশেষ করে সাঞ্জু স্যামসনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না রিশাদ-মুস্তাফিজরা।
শুরুতেই তানজিম সাকিবের বলে অভিষেক শর্মার উইকেট হারালেও ভারতকে আটকে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদকে পরপর ৪টি চার মেরে ভারতের রানের গতি বাড়িয়ে দেন স্যামসন। তৃতীয় ওভারে তানজিম হাসান অভিষেক শর্মাকে পুল করতে বাধ্য করে মিড উইকেটে শেখ মেহেদির হাতে ক্যাচ ধরিয়ে একমাত্র উইকেটটি তুলে নেন।
এরপর থেকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। স্যামসন ও সূর্যকুমারের ৫০ বলে ১৩৩ রানের জুটি কার্যত বাংলাদেশকে ছিটকে ফেলে দেয়। তাসকিনের করা পঞ্চম ওভারে ভারত ২ চার ও ১ ছক্কা আদায় করে নেয়। ষষ্ঠ ওভারে তানজিম সাকিবের বলে সূর্যকুমার মেরে বসেন ৩ চার ও ১ ছক্কা, যা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে সম্পূর্ণরূপে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
৬ ওভারে ৮২ রান করে ভারত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ পাওয়ারপ্লে স্কোর দাঁড় করায়। এটি ভারতেরও পাওয়ারপ্লেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান, যা তাদের আক্রমণাত্মক মনোভাবের প্রমাণ দেয়। তবে এরপরও ভারত থেমে নেই। এরমধ্যে রিশাদের করা ১০ম ওভারে সঞ্জু স্যামসন পাঁচ ছক্কা হাঁকান। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান।
এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ দাঁড়িয়ে গেছে, যেখানে তাদের বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে রানের লাগাম টেনে ধরতে।