স্থবিরতা কাটিয়ে দেশের ক্রিকেট সচল করতে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছে ক্রিকেট বোর্ড পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া। আইসিসিকে বুঝিয়ে অ্যাডহক কমিটি অথবা গঠনতন্ত্র মেনেই নতুন-পুরনোর সমন্বয়ে হতে পারে পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমান ৪ পরিচালক ও বাইরের ৫ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। দায়িত্ব নিতে চান সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক।
অচলাবস্থার আরও একটা দিন পার হলো। ক্রিকেট বোর্ড ভাঙা বা পুনর্গঠনের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। সেনা পাহারা মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে। স্বাভাবিক কাজে স্থবিরতা। সভাপতি নাজমুল হাসান পদত্যাগে রাজি হলেও কবে, কিভাবে কার্যকর হবে তাতে রাজ্যের গোপনীয়তা।
তবে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে যারা থাকতে চান আর ঢুকতে চান তাদের মধ্যে। কিভাবে বোর্ড পুনর্গঠন হবে তা নিয়ে নানামুখী বিকল্প সামনে আসছে। তার একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন। সেক্ষেত্রে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে আইসিসিকে অনুরোধ করতে হবে।
অথবা গঠনতন্ত্র মেনে বর্তমান বোর্ডের কিছু পরিচালককে রেখে নতুন কয়েকজনকে যুক্ত করা। সেক্ষেত্রে বোর্ডের বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে থাকতে পারেন ইফতেখার রহমান মিঠু, আকরাম খান, মাহবুব আনাম ও ফাহিম সিনহা।
বাইরে থেকে আসতে পারেন সৈয়দ আশরাফুল হক। নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট এমনকি তামিম ইকবালের নামও শোনা যাচ্ছে।
এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক।
বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক বলেন, পুরো বিশ্ব জানে বাংলাদেশে কি হয়েছে, আইসিসিও জানে। তাই আমার মনে হয় না আইসিসির কোনো আপত্তি থাকবে। ধারাবাহিকতার জন্য আমাকে বলতে হয় যে, পুরোনো বোর্ডে বেশ কিছু সৎ লোক ছিল। তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি বোর্ড গঠন করে চালালে কোনদিক থেকেই কোনো অসুবিধা নেই।
সঙ্কটে দেশের ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে রাজি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সাবেক এ প্রধান নির্বাহী। আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে প্রক্রিয়া শুরু করবেন। কোনভাবেই নারী বিশ্বকাপ অন্য দেশে চলে যাক সেটা চান না সৈয়দ আশরাফুল। যদিও সে জন্য খুব বেশি সময়ও বাকি নেই।
সৈয়দ আশরাফুল হক আরও বলেন, একটা স্বৈরাচার যেভাবে দেশটা চালায়, সেভাবেই বিসিবিটা চালানো হতো। সেগুলোর সমাধান করে যদি একটা ভালো বিসিবি বোর্ড করা হয় তাহলে ভালো হবে। আর বাংলাদেশে তো ভালো লোকের অভাব নেই, আমরা লোক পাব যারা বিসিবিকে ভালোভাবে চালাতে পারবে।
তবে পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হিসেবে আগে পদত্যাগ করতে হবে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তখন বর্তমান পরিচালকদের একজন আপাতত সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নেবে কার্যক্রম। কেউ পদত্যাগ না করে তিন সভায় অনুপস্থিত থাকলে এমনিই বাতিল হবে পদ।