পৃথিবীতে সবাই ভালোভাবে থাকতে চায়। কেউ সবাইকে নিয়ে আর কেউ একাই ভালো থাকার কথা ভাবেন। সম্পর্কে থাকতে গেলে দুজন মানুষের ভালো-মন্দ মানিয়ে চলতে হয় তবে যদি একজন স্বার্থপর হয় তাহলেই বিপদ। সঙ্গী স্বার্থপর হলে এখনই সাবধান হন নয়তো সামনে দিনে হতাশা কাজ করবে। কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আপনার সঙ্গী স্বার্থপর কিনা। ম্যারেজ ডটকমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে স্বার্থপর সঙ্গীর কয়েকটি লক্ষণ।
কথা শুনতে অনীহা: আপনার মন-মেজাজ খারাপ, আপনি প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে গিয়ে নিজের সব দুঃখের কথা বললেন, তিনিও মন দিয়ে শুনলেন এবং আপনাকে সান্ত্বনা দিলেন। এটাই স্বাভাবিক চিত্র হওয়া উচিত সম্পর্কে। কিন্তু যদি দেখেন আপনি নিজের কথা শেয়ার করছেন আর সঙ্গী মনোযোগ দিয়ে শুনছে না বরং সে নিজের মতামত দিয়ে আপনাকে আরও কষ্ট দিচ্ছে তাহলে সাবধান হটে হবে। সম্পর্কে দুজনের মাঝেই ভারসাম্য বজায় থাকা উচিত, একে অপরের মাঝে নির্ভরতার একটি জায়গা থাকা উচিত। সে আপনার ওপর নির্ভর করছেন অথচ আপনি তার ওপর নির্ভর করতে পারছেন না, কেন? কারণ তিনি স্বার্থপর।
কথা বন্ধ করা: কোনো বিষয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু আলোচনা না করে বরং সঙ্গী আপনার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এটা কিন্তু কোনো সমাধান নয়। দুজন মানুষের মাঝে মতের পার্থক্য হবেই। এ বিষয়ে কথা বলে একটা সমাধানে আসতে হবে। কিন্তু আপনার সঙ্গী তা না করে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এতে আপনি কষ্ট পেতে থাকেন ও একটা সময়ে তার কথাই মেনে নেন। এটা পরিষ্কার স্বার্থপরতা।
মতামত চাপিয়ে দেয়া: দুজন মানুষ সম্পর্কে থাকতে গেলে কত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অনেক সময় ঠিক ভুল বিভিন্ন বিষয় আসে। তবে সমস্যা হয় তখন যখন আপনার সঙ্গী তার সব কথা সঠিক বলে ধরে নেয়। সব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের মতামত আপনার ওপরে কেন চাপিয়ে দেয়। সে যদি সব ক্ষেত্রেই নিজের মতে অটল থাকে, সঙ্গীর কোনো মূল্যই দেয় না তাহলে বুঝতে হবে মানুষটা স্বার্থপর।
সঙ্গীকে চোখে চোখে রাখা: প্রেম করছেন, তার মানে এই নয় যে দুজন শুধুই দুজনাকে সময় দেবেন। প্রেমিক বা প্রেমিকার নিজের একটা জীবন আছে, পরিবার আছে, আলাদা বন্ধুমহল আছে। কিন্তু যখন আপনার সঙ্গী সেটা বুঝতে না চেয়ে সবসময় আপনাকে চোখে চোখে রাখবে, আপনার সঙ্গে থাকবে তাহলে সম্পর্ক নিয়ে আর একটু ভাবুন।
সে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের প্রচুর সমালোচনা করেন: আপনার পরিবারের কোনো কোনো সদস্য ও দুয়েকজন বন্ধুর প্রতি সঙ্গীর অনীহা থাকতেই পারে। কিন্তু এ কারণে আপনার পরিবার ও বন্ধুদেরকে এড়িয়ে চলা, তাদের নিয়ে আপত্তিকর আচরণ, কটু কথা বলা এমনকি তাদের থেকে দূরে থাকার জন্য আপনাকে চাপ দেয়া মোটেই ভালো নয়। সঙ্গীর জীবনে এত বড় পরিবর্তন আনার চেষ্টা স্বার্থপরতার লক্ষণ।
চাহিদা প্রাধান্য না দেয়া: সুস্থ একটি সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরের যত্ন নেন, তার শারীরিক-মানসিক চাহিদার খোঁজ রাখেন। কিন্তু তিনি যদি শুধু নিজের ভালোর কথা ভাবেন, সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল না হন, তাহলে নিঃসন্দেহে সে স্বার্থপর। সে আপনার থেকে সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ আপনার যত্ন নিচ্ছেন না, এমন সম্পর্কে সুস্থতা বজায় থাকে না।
সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার হুমকি: দুজন মানুষে মিলে সম্পর্ক তৈরি হয়। কোনো বিষয়ে নিজের মনের মতো ফলাফল নাও পেতে পারেন। হয়ত সঙ্গী চাইছেন ছুটিতে শহরের বাইরে বেড়াতে যাবেন। তখন তিনি চাইছেন বন্ধুদের সময় দিতে। এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকবার আসে। তবে নিজের মনের মত কোনো কাজ না হলে যখন সঙ্গী সম্পর্ক ভেঙে ফেলার হুমকি দেন তখন সাবধান হতে হবে।