27 C
Dhaka
Tuesday, September 17, 2024

বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত বিচারপতি হচ্ছেন এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকাকালে তার নানা কর্মকাণ্ড আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি ২০১৫ সালে অবসরে যাওয়ার পরও আলোচিত ছিলেন বিচারপতি মানিক। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায়ের বেঞ্চেও তিনি ছিলেন অনন্য। রায়ে কেবলমাত্র তিনিই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।

বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডের কারণে প্রায় সব সময়ই আলোচনায় ছিলেন বিচারপতি মানিক। অবসরে যাওয়ার পরও ১৬১টি মামলায় রায় লেখা বাকি ছিল তার। এ নিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মানিক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু মামলায় বিতর্কিত রায় দেন তিনি। সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা অশালীন মন্তব্য করেন বিচারপতি মানিক।

আরো পড়ুন  আসছেন ডোনাল্ড লু, ঢাকা ইস্যুতে দিল্লিকে বার্তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

অভিযোগ রয়েছে, ২১ জন বিচারককে ডিঙ্গিয়ে মানিককে বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে হাইকোর্টের বিচারকের গাড়িকে সালাম না দেওয়ার কারণে আদালতে কান ধরে উঠবস করিয়েছিলেন মানিক। সেই প্রেক্ষাপটে পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক শহীদুল হক বলেছিলেন, ট্র্যাফিক পুলিশ কাউকে অভিবাদন জানাতে বাধ্য নয়। পরে শহীদুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। এতে আইন অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মহাপরিদর্শকের পদ হারান তিনি। পরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার কারণে শহীদুল হক চাকরি ফিরে পান।

আরো পড়ুন  অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ কী, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

এছাড়া বিমানে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কিনে জোরপূর্বক বিজনেস ক্লাসের আসনে বসে লন্ডনে যাওয়ার মতো কীর্তি রয়েছে বিচারপতি মানিকের। তিনি ৩২ হাজার পাউন্ড দিয়ে লন্ডনে তিনটি বাড়ি কিনেছেন। বাড়ি ছাড়াও লন্ডনে আরও সম্পত্তি আছে তার। কিন্তু সেই আয়ের উৎস প্রকাশ করেনি বিচারপতি মানিক। এমনকি ট্যাক্স রেকর্ডেও তা প্রকাশ করেননি তিনি। অবসর নেওয়ার কয়েক মাস পর মানিক অনেক মামলার রায় লিখেছিলেন। তার বিতর্কিত রায়ের কারণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মানিকের রায় দেয়া ১৬১টি মামলা পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

আরো পড়ুন  ঢাকার পথে মাঝআকাশে বিমানের উইন্ডশিল্ডে ফাটল, এরপর যা ঘটল

দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েও হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারকাজ চালিয়ে গেছেন বিচারপতি মানিক। দেশের কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করেননি তিনি। অভিযোগ রয়েছে, বিচারপতি মানিক দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, যাকে ইচ্ছা তাকে নির্যাতন ও হয়রানি করেছেন। বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পদের হিসাব গোপন এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের শপথ ও আচরণবিধি ভঙ্গের মতো অভিযোগও উঠেছিল।

সর্বশেষ সংবাদ