কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মীর মিলন (৫০)। তিনি উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের জাবু মীরের ছেলে। নিহত মিলন আলেম উলামা পরিষদের একজন সদস্য।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ছয়সূতী ইউনিয়নে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে মাহফিলের আয়োজন করার কথা ছিল। অপরদিকে ইমাম ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকেও একটি মাহফিলের আয়োজন করার কথা ছিল। দুপক্ষের উত্তেজনা থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববার মাহফিলের আয়োজন বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সোমবার সকালে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে। তবে উপজেলা প্রশাসন মিছিলটি ছয়সূতী বাজারে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। কিন্তু মিছিলটি ছয়সূতী বাজারে আসলে ইমাম ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বাধা দিলে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ছয়সূতী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভাঙচুর করা হয়।এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে মীর মিলন নামে একজনের মৃত্যু হয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ ১২ রবিউল আউয়াল। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।