মুন্সীগঞ্জে খাবার চেয়ে না পেয়ে বাসায় ঢিল ছোড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে নদীতে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ধলেশ্বরী নদী থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার দুপুর ১টার দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও-সংলগ্ন নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় ওই যুবককে।
সোমবার (১০ জুন) সকালে প্রত্যক্ষদর্শী জজমিয়া নামের এক ব্যক্তি গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিহত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। নয়াগাঁও এলাকার স্থানীয় জুলহাস নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে খাবার চাইতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। এ সময় খাবার না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে ঢিল ছুড়লে জুলহাস নির্মমভাবে ওই ভারসাম্যহীনকে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেন। এতে ডুবে যান ওই যুবক। অমানবিক কাজ করেছেন জুলহাস। এ ঘটনায় তার বিচার হওয়া উচিত।
খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর দুপুর একটার দিকে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান।
তিনি বলেন, আমরা সিসিটিভির ফুটেজ পেয়েছি, স্থানীয়দের অভিযোগও পেয়েছি। হত্যা না মৃত্যু তার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।