বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না। দলীয় নেতাকর্মীদের দলের নির্দেশা অমান্য করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কুষ্টিয়া জেলায় যৌথ কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোনায়েম মুন্না বলেন, আওয়ামী লীগের অবৈধ কর্মকাণ্ড দেশের জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। তাই তারা যা করেছে বিএনপি সেটা করবে না। মানুষের ওপর কোনো প্রকার অন্যায় জুলুম করা যাবে না। ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, মানুষের ওপর কোনো অন্যায়-অত্যাচার করা যাবে না। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ যেমনটি মানুষের সাথে করেছে। সেসব কর্মকাণ্ড মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
মুন্না বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সে অবস্থান নিয়েছে। তাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে দলের কোনো নেতাকর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৭ বছরে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তারা নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেউ কোনো অন্যায় করে পার পাবে না। আওয়ামী অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপিতে জায়গা দেওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুন্না বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতাদের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
সঞ্চালনায় ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া উৎপল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নিশাত। সভাপতিত্ব করেন আল আমিন রানা সাবেক সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা যুবদল। আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ও তার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।