দুই হাজার ৫০০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের অর্থ জনগণের তহবিল থেকে চুরির অভিযোগে এক ব্যবসায়ী এবং সাবেক এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর মান দাঁড়ায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ইরাকের একটি ফৌজদারি আদালত এই রায় দেয়।
এই কেলেঙ্কারিকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ডাকাতি’ উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, এটি ইরাকে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। কয়েক দশকের সংঘাতের পর ব্যাপক দুর্নীতি, বেকারত্ব দেশটির ক্ষয়িষ্ণু অবকাঠামোকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএনএ জানিয়েছে, ফৌজদারি আদালত ব্যবসায়ী নুর জুহাইর এবং তখনকার প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদেমির সাবেক উপদেষ্টা হাইথাম আল-জুবুরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই দুই সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনের মধ্যে রয়েছে যারা দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। এই বিচারকার্য আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছিল। তবে দুজনই পলাতক রয়েছেন।
কর কর্তৃপক্ষের মতে, আসামীরা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪৭টি চেকের মাধ্যমে ২,৫০০ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণের ওই অর্থ তুলে নেয়া হয়। প্রায় ৩০ জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে যারা সেই সব ব্যাংক হিসাবের মালিক ছিলেন। তবে সন্দেহভাজনদের বেশিরভাগই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে রয়েছে। অনেককে বাধ্যতামূলক ইরাকে ফিরিয়ে আনা হবে। এমনটি জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা।