31 C
Dhaka
Saturday, October 19, 2024

গৃহবধূর মরদেহ বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যান স্বামী-শাশুড়ি, এরপর যা ঘটলো

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে আটক হয়েছেন স্বামী ও শাশুড়ি। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রাম থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান। নিহত পপি ওই গ্রামের হাবিবুর শিকদারের মেয়ে। আটককৃতরা হলেন, নিহত পপির স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুন (৫৫)। তাদের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামে।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে রায়হান পারভেজ শ্যালক সোহাগকে রায়হান ফোন করে জানান, পপি জ্ঞান হারিয়েছেন। খবর পেয়ে সোহাগ ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে পপি মারা গেছেন। মরদেহ নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে পপির মরদেহ নিয়ে তারা কাশিয়ানীর শংকরপাশায় পৌঁছান। চলে মরদেহ দাফন-কাফনের প্রস্তুতি। এক পর্যায়ে নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান স্বজনরা। এতে সন্দেহ হলে রায়হান ও তার মা আবেদা খাতুনকে আটক করা হয়। পরে বুধবার সকালে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন  রাস্তায় পড়ে ছিল নারীর মরদেহ, পাশে কাঁদছিল ২ বছরের শিশু

নিহতের মা রিজিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে রায়হান ও পপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা নেয়ার জন্য পপিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পপিকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন।’ আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরো পড়ুন  মিজানুর রহমান আজহারীকে নিয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি, এরপর যা জানা গেল

কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে।

তিনি আরও জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন  পাগলা মসজিদের দানের টাকা বন্যার্তদের দেওয়া নিয়ে যা জানা গেল
সর্বশেষ সংবাদ