ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি-ঘর ও বসতভিটা ভেসে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। এ অবস্থায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বন্যার্তদের জীবনযাপন। এরইমধ্যে বন্যার কবলে ৫৪ জনের মৃত্যুও হয়েছে। সবমিলে বন্যার্তদের জীবন পরিচালনা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাব এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন এগিয়ে এসেছেন। আবার ব্যক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে এসেছেন অনেকে। সাধারণ শ্রেণিপেশার মানুষের পাশাপাশি এ তালিকায় রয়েছেন শোবিজ ও সংগীত তারকারাও। তাদেরই একজন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
এ অভিনেত্রীর বাড়ি নোয়াখালী। বন্যায় যখন নিজ এলাকার মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে, ঠিক সেই সময় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এলাকায় ছুটে গেলেন বুবলী। বন্যার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সাধ্য অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ‘বসগিরি’ খ্যাত এ নায়িকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত সোয়া নয়টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি ভিডিও ও কয়েকটি ছবি পোস্ট করে এ খবর জানান চিত্রনায়িকা বুবলী। একইসঙ্গে অন্যদেরও বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এ অভিনেত্রী ছবি ও ভিডিওর ক্যাপশনে ‘নোয়াখালি বন্যা কবলিত এলাকায়’ শিরোনামের পোস্টে লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরও দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে আমি সবসময় চেষ্টা করি এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’
‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্থ মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহার সামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে। সবাইকে অনুরোধ করব বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহার সামগ্রীগুলো পৌঁছায়, সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’
এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে বুবলী বলেছেন, বন্যার শুরু থেকেই বানভাসিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক থাকায় এ ক’দিন ঢাকা থেকে সহযোগিতা করেছি। তবে আমার সশরীরে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল। এ জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী নোয়াখালীর প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েছি। আমি আমার জায়গা থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি।