সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভ্যানগাড়িতে ঠাসাঠাসি করে সাজানো লাশ। ওপর থেকে ঢেকে রাখা পর্দা সরানোর সময় বেরিয়ে আসে একটি মৃতদেহের হাত, যা দেখে একজন মা শনাক্ত করেন তার প্রাণপ্রিয় সন্তানকে এবং একজন স্ত্রী চিনতে পারেন তার স্বামীকে। মৃত ওই ব্যক্তি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেন।
আবুল হোসেনের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন, গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ব্রাজিলের জার্সি ও লুঙ্গি পরে ছাত্রদের মিছিলের যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তার স্বামী। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন হাসপাতাল, জেলখানাসহ সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে নিখোঁজ আবুল হোসেনের মা ছালমা বেগম ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। ছালমা বেগম দাবি করেন দ্রুত সময়েরে মধ্যে তার ছেলের লাশ ফেরত দেয়ার। সেই সঙ্গে দায়ীদের বিচারও দাবি করেছেন তিনি।
নিহত আবুল হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমুলালার মুরাদ নগরের ফুলঘর গ্রামে। বাবার নাম মনি মিয়া। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, একই পোশাকে সেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আবুল হোসেন। এছাড়া কিছু প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, ভ্যানে থাকা লাশগুলোকে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, গত ৬ আগস্ট সকালে পুড়ে যাওয়া চারজনের লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দু’জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আগুনে পুড়ে যাওয়া দু’জনের দেহাবশেষ বেওয়ারিশ হিসেবে স্থানীয় আমতলা গোরস্থানে কবর দেয়া হয়েছে।