রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার এক ও দুই নাম্বার আসামি আমির আলী ও সুজন চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
সোমবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রংপুর পিবিআই এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকেই তাজহাট থানার এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছিল। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক রিকুইজিশন দেয়া মেট্রোপলিটন আসামিদের পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ১২ আগস্ট আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্তের ভার পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে পিবিআইকে দেয়া হয়। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ও পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়। দুটি মামলাতেই এক ও দুই নাম্বার আসামি এই দুইজন।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যু্বলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।
পরে ১৮ আগস্ট নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।