রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে ৫ ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া ৫টি সন্তানই সুস্থ রয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের প্রসূতি ও গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এক সঙ্গে ৫ সন্তান জন্ম দেয়া ওই প্রসূতির নাম মেরিনা খাতুন (২৮)। এর আগেও তার দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছিল দুই বারে। এবার তৃতীয় দফায় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে একসঙ্গে ৫ ছেলে সন্তানের মা হোন তিনি।
মেরিনার বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার শ্রীরামপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মালেয়শিয়া প্রবাসী আব্দুল মজিদের স্ত্রী। তবে আব্দুল মজিদ বর্তমানে মালেয়শিয়ায় অবস্থান করছেন। বছর খানেক আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। সম্প্রতি তিনি আবার চাকরির সুবাদে মালেয়শিয়াতে পাড়ি দেন।
এদিকে হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক নিলুফার শারমিন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রসূতি মেরিনাকে তার স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এরপর সেখান থেকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। প্রসূতির অবস্থা আস্বাভাবিক দেখে তাকে দ্রুত ওটিতে নেয়া হয়। সেখানে সিজার করে একে একে ৫টি নবজাতক বের করা হয়। এ সময় চিকিৎসকরাও অবাক হয়ে যান। রামেক হাসপাতালে এই প্রথম একসঙ্গে ৫টি সন্তান জন্ম নিলো বলেও জানান তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এর আগেও মেরিনার দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। একজনের নাম সুমাইয়া (১০), অপরজনের নাম সুরাইয়া (৬) বছর। এরই মধ্যে মেরিনা ও মজিদের ঘরে যুক্ত হলো নতুন পাঁচ সন্তান।
মেরিনার আত্মীয় নয়ন বাবু জানান, গর্ভে ২টি সন্তান থাকলেই কোনও না কোনও সমস্যা হয় প্রসূতির। এক্ষেত্রে ৫ সন্তান জন্ম দিলেও তেমন কোনও সমস্যা হয়নি মেরিনার। পরিবারের সদস্যরা অনেকে খুশি হয়েছে। এদিকে, এক সঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ড থেকেও রোগীর স্বজনরা ভিড় করেন সেই নবজাতকগুলোকে দেখার জন্য।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানান, নবজাতকগুলো এখন পর্যন্ত সুস্থ রয়েছে এবং তাদেরসহ মা মেরিনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।