ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে মারা গেছেন দুজন। দুটি ঘটনাই ঘটেছে একইদিনে। এ ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ঘটনাকে জঘন্য বলে অভিহিত করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি বলেন, চুরি করলেও যেখানে হত্যা করা যায় না, সেখানে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হল মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে। আমরা দেশের নানা জায়গার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরদ্ধে কথা বলি। সেই জঘন্য ঘটনা এবার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কথিত শিক্ষার্থীরা ঘটাল। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, এই অরাজকতার সাথে জড়িতদের পরিচয় যেটাই হোক, তাদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।
তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা থামাতে হবে। একটা সুস্থ ও স্থিতিশীল সমাজের জন্য এটা অতীব জরুরি বিষয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে তোফাজ্জল নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একইদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে মারা গেছেন শামীম মোল্লা নামে আরেকজন।