চলতি বছরের মে মাসেই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ‘ভাইয়ারে’ সিনেমাকে ‘পাপ মুক্ত’ দাবি করে আলোচনায় উঠে আসা অভিনেতা রাসেল মিয়া। কিন্তু সেই বিয়ের চার মাস পার না হতেই দাম্পত্য কলহ ও ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী বর্ষা চৌধুরীর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হলেন এ অভিনেতা।
রাজধানীর সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক লাইভে এসে বর্ষা চৌধুরী কান্নারত অবস্থায় যৌতুকের জন্য তাকে মারধর ও নির্যাতনের ব্যাপারে জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিয়ের মাত্র তিনদিন পর থেকেই রাসেল মিয়া যৌতুক দাবি করেন এবং এ জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তাকে নির্যাতন করা শুরু করেন।
এছাড়া মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী বিবাদী রাসেল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় আমার। বিয়ের পর ভবিষ্যৎ সুখের কথা ভেবে আমি বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দেই। কিন্তু এতে খুশি না হয়ে বরং বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং নতুন সিনেমা তৈরি করবে বলে প্রায়ই আমার কাছে যৌতুক হিসেবে ৬৫ লাখ টাকা দাবি করতে থাকে।
বিবাদীকে যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে আমাকে হুমকিও দেয় সে। আর এতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আমাকে প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ভবিষ্যৎ জীবন সুখের আশায় তার নির্যাতন সহ্য করতে থাকি। কিন্তু এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিবাদী আমার কাছে যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আমি অপরাগতা প্রকাশ করলে তখন আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সে জখম করে। এ অবস্থায় আমার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।
প্রসঙ্গত, ‘ভাইয়ারে’ সিনেমায় নায়ক ও পরিচালকের দ্বৈত ভূমিকায় ছিলেন রাসেল মিয়া। ওই সময় সিনেমাটির প্রচারণায় ‘পাপ মুক্ত’ দাবি করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। অজু নিয়ে সিনেমাটি দেখা যাবে এবং সিনেমাটি দেখলে অজু ভাঙবে না বলে দাবি করেছিলেন রাসেল মিয়া।