ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ায় গ্রুপটির দায়িত্বে কে আসছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এখন পর্যন্ত দুজন ব্যক্তির নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। একজন হচ্ছেন হাসিম সাফিএদ্দীন, অপরজন নাইম কাসেম।
বর্তমানে এ দুজনের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন সাফিএদ্দীন। তিনিই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরবর্তী প্রধান হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
নাসরুল্লাহ প্রায় ৩২ বছর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শুক্রবার, গ্রুপটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার মুখে প্রাণ হারান নাসরুল্লাহ। বলা হচ্ছে, নাসরুল্লাহ নিহত হলেও ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেছেন হাসিম সাফিএদ্দীন। এখন তার কাঁধে তুলে দেওয়া হতে পারে গোষ্ঠীর দায়িত্ব। ইসরায়েলি গণমাধ্যমও সাফিএদ্দীনকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরবর্তী সম্ভাব্য নেতা হিসেবে দাবি করেছে।
সাফিএদ্দীন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান। তিনি গ্রুপটির রাজনৈতিক দিকও দেখভাল করেন। এ ছাড়া জিহাদ কাউন্সিলের সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি। এই জিহাদ কাউন্সিল প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সামরিক অভিযানগুলো পরিচালনা করে থাকে। সাফিএদ্দীনের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি নাসরুল্লাহর দূরসম্পর্কের ভাই। আবার ধর্মীয় ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত তিনি।
এ ছাড়া তিনি নিজেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর খুব কাছের বংশধর হিসেবেও দাবি করেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হাসান নাসরুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক, শারীরিক গঠন একই রকম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং মহানবীর বংশধর হওয়ায় তার উপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব আসতে পারে।
হাসিম সাফিউদ্দীন সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাকে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় যুক্ত করে। গত জুনে সাফিউদ্দীন ইসরায়েলকে কঠোর যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
এদিকে ইরানের সহযোগিতায় ৪২ বছর আগে লেবাননে জন্ম হয়েছিল হিজবুল্লাহর। দলটির সাবেক প্রধানকে ১৯৯২ সালে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। এরপরই হিজবুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাসান নাসরুল্লাহ। কিন্তু ইসরায়েলের হামলাতেই গতকাল শুক্রবার নিহত হয়েছেন তিনি।