রাতেই দেশের ৬ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয় রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম অঞ্চল ব্যতীত বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও বলা হয়, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুঙ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এতে বৃষ্টিপাতও বাড়তে পারে।
ভারতীয় সংস্থাটি আরও জানায়, আগামী ১৪ অক্টোবর দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এবং শক্তি বাড়িয়ে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। পরের দিন এটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর ১৭ অক্টোবর এটি উপকূলে উঠে আসতে পারে।