বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোক্কুজ্জো সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন, ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় চমকটি কী ছিল? ২০২৩ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মেসি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন।
মেসি ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে এমএলএসে যোগ দেন। মায়ামিতে আসার পর থেকেই তিনি মাঠে এবং মাঠের বাইরে অসাধারণ প্রভাব ফেলেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ইন্টার মায়ামির হয়ে দুটি ট্রফি জিতেছেন – লিগস কাপ এবং সাপোর্টার্স শিল্ড। এখন তার লক্ষ্য এমএলএস কাপ জয়।
সম্প্রতি মেসি পত্নী আন্তোনেলা হাউট লিভিংকে জানিয়েছেন, মায়ামিতে আসার পর সবচেয়ে বড় চমক ছিল তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা। তিনি বলেন, ‘মায়ামির সবচেয়ে ভালো যে জিনিসটি আমার পছন্দ, তা হলো এখানকার আবহাওয়া, মানুষ এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য। সবকিছুই মনে হয় যেন আপনি একটি চিরন্তন গ্রীষ্মের মধ্যে বাস করছেন।’
‘আমাদের সবচেয়ে বড় চমক ছিল যখন আমরা মায়ামিতে আসলাম, আমরা যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি, তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছিল। সত্যিই খুব সহজ ছিল মানিয়ে নেওয়া, এবং আমরা সবাই এ নিয়ে খুশি। আমাদের মূল উদ্বেগ ছিল বাচ্চারা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবে কি না, কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তারা খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।’
মেসি যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি দ্রুত তার পরিবার নিয়ে মায়ামির পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। এর আগে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের জন্য বেশ জটিল ছিল, কিন্তু মায়ামিতে জীবনযাপন তাদের জন্য অনেক সহজ হয়েছে।
মেসিও মায়ামি সম্পর্কে নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছিলেন, ‘আমি এখানে ফুটবল খেলতে এবং উপভোগ করতে এসেছি, কারণ এটি আমার জীবনের ভালোবাসা, এবং আমি এই স্থানটি বেছে নিয়েছি কারণ এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য সহজ হয়েছে।’
ডেভিড বেকহ্যাম, যিনি ইন্টার মিয়ামির সহ-মালিক, এই খবর শুনে খুবই খুশি যে মেসি এবং তার পরিবার মায়ামিতে খুশি। তিনি মেসিকে দলে আনতে অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং এখন আশা করছেন যে মেসি তার চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়াবেন।