আজ ১৪ অক্টোবর ৫৫তম ‘বিশ্ব মান দিবস’। পণ্য এবং সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বির্নিমাণে মান’। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বিএসটিআইয়ের উদ্যোগে প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহে আলোচনা সভাসহ প্রচারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিটিআরসির মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইলে খুদেবার্তা (এসএমএস) প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে।
ডিজিটাল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি মানুষের জীবন ব্যবস্থাকে করেছে আরও উন্নত, সহজতর, নিরাপদ ও সুরক্ষিত। এই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় তথা বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ‘মান’ আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও সেবা প্রদানসহ সব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ অপরিহার্য। পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এসডিজির গোলসমূহকে প্রাধান্য বিশ্বব্যাপী দিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত একই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে বিশ্ব মান দিবস পালন করা হবে। এ বছর এসডিজির গোল-৩ অর্থাৎ স্বাস্থ্য খাতকে ফোকাস করা হয়েছে। বিশ্বায়নের যুগে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মূলে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবস্থা, রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা।