আফগানিস্তানের নৈতিকতা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, দেশব্যাপী গণমাধ্যমে জীবিত মানুষ ও প্রাণীর ছবি প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হবে। নতুন এ আইন ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান সরকারের পাপ দমন ও পুণ্যের প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
নতুন নিয়মের আওতায়, গণমাধ্যমে জীবিত মানুষের ছবি প্রকাশ করা এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে রসিকতা বা অবমাননাও নিষিদ্ধ হবে। তালেবানের দাবি, এ আইনের উদ্দেশ্য হলো, শরিয়া আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরায় দখলের পর থেকেই শরিয়া আইন কার্যকর করতে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলেও একই ধরনের নিয়ম ছিল।
নতুন আইনটি এখনো সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হয়নি। বাস্তবে, তালেবান কর্মকর্তারা নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে জীবিত মানুষের ছবি প্রকাশ করে থাকেন। তবে সরকার ঘোষণা করেছে, আইনটির বাস্তবায়ন ধীরে ধীরে করা হবে এবং কঠোর শরিয়া নীতির প্রতি সম্মান বজায় রাখতে নিয়মটি মেনে চলা বাধ্যতামূলক হবে।
এ নতুন আইন আফগানিস্তানের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে এবং এটি দেশটির সংবাদমাধ্যমের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশ, যা তালেবানের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানকার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে। প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্র বিভাগ থেকে বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি এবং বেসরকারি যে কোনো অনুষ্ঠান বা সমাবেশে জীবিত মানুষের বা প্রাণীর ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি ভালো থেকে বেশি ক্ষতি করে ‘
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মকর্তাদের কার্যক্রমের বর্ণনা দিতে লেখা বা অডিও বিষয়বস্তু ব্যবহার করা যাবে, তবে জীবিত জিনিসের ছবি বা ভিডিও গ্রহণ করা যাবে না।