অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, আইয়ূব খানের সরকার মুসলিম বিবাহ আইন ও উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তন করেছিল। মানুষের কোনো ক্ষমতা নাই আল্লাহর আইন, আল্লাহর বিধানে হাত দেওয়ার। কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর আইন, আল্লাহর বিধান জারি থাকবে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ‘ইসলামী সুখী-সুন্দর সমাজ গঠনে মসজিদের ভূমিকা এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামী অর্থনীতি সম্প্রসারণে মুসলমানদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং মহিবুল হাসান নওফেল চৌধুরী এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। দিপু মনি ও তার পরিবার মেঘনার পাড় দখল করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আফ্রিকার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাসিদুর দারুস সালাম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস মিজান বলেন, আফ্রিকা একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এই মহাদেশটি হতে পারে ইসলাম প্রচারের একটি উর্বর ক্ষেত্র। ইসলামী অর্থনীতি সম্প্রসারণে এবং ইসলামী ব্যাংকিং এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীক কার্যক্রমে আফ্রিকার অর্থনীতি পাল্টে দিবে।
মসজিদ সমাজ বাংলাদেশের সভাপতি এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোহাম্মদ নওয়াব আলী ভূঁইয়া, ২ লক্ষ মসজিদ, মক্তব, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মাদদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র এবং ২ লক্ষ ইয়াতিম শিশু লালন পালনের পরিকল্পনা পেশ করেন। এসময় তিনি দেশের কোটি কোটি বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সুখী সুন্দর জীবন যাপনে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মুফতি জুবায়ের আহমেদ দেশের মসজিদগুলোতে খ্রিস্টানদের তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, দেশের মসজিদগুলোতে আরও বেশি পরিকল্পিত ইসলামের কাজ করতে হবে। অমুসলিমদের কাছে আমাদের দাওয়াতী কাজ পৌঁছাতে হবে।
এ ছাড়াও প্রোগ্রামে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, বেফাকের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালী, প্রফেসর পারভেজ মিয়ান, শাহ নেওয়াজ কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা মসজিদ সমাজ বাংলাদেশের কার্যক্রমকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুত্বারোপ করেন।