ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছরই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং নাগরিক জীবনে আতঙ্ক দেখা যায়। পর্যবেক্ষণে লক্ষ করা যাচ্ছে, এই বছর এ বিষয়টি প্রকটতর আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সঠিক কর্মপদ্ধতি ও সমন্বিত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কার্যকরভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আগে থেকেই যথাযথ সতর্কতা ও কার্যক্রম গ্রহণ করলে ডেঙ্গু নিরসনে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের গাফিলতির সুযোগ নেই।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) মানবাধিকার কমিশনের এক বিবৃতিতে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রেরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০২৪ সালের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি, মানসম্পন্ন কীটনাশক এবং কীটনাশকের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং, পোস্টার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচারণা এবং এলইডি মনিটরে প্রচারণাসহ সব ধরনের প্রচারণা চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে, সব ওয়ার্ডে মশক সুপারভাইজাররা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক জিঙ্গেল হ্যান্ড মাইকে প্রচার করছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিকে ১০ ভাগে ভাগ করে সম্মানিত কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে সর্বাত্মক মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর তথ্য প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উক্ত হোল্ডিংয়ে এবং সংলগ্ন ৩০০ গজ এলাকায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে মশক নিধন চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন মতে, মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে মর্মেও জানানো হয়েছে। এছাড়া মশা নিধনে নিয়োজিত কর্মী, সুপারভাইজারসহ যন্ত্রপাতি, কীটনাশকসহ মনিটরিং কমিটি, ওয়ার্ড টাস্কফোর্স কমিটি, জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা, গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।