টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তারের খবরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্তৃক তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসা মাত্র রাত সাড়ে ৯টার দিকে মধুপুর ও ধনবাড়ীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে।
দুই উপজেলা বাসিন্দারা ছাড়াও বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও এ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণে অংশগ্রহণ করে।
মিছিল শেষে মধুপুর, ধনবাড়ী দুই উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির নেতরা।
এসময় সাবেক মন্ত্রীর নিজস্ব উপজেলা ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ এম আজিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি এসএমএ সোবাহান, বিএনপি নেতা মিন্টু তালুকদার, খায়রুল মুন্সি বক্তৃতা করেন।
অপরদিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বরের সমাবেশে বিএনপির এক অংশের সাবেক নেতাদের মধ্যে আব্দুল লতিফ পান্না, যুবদলের সাবেক নেতা আব্দুল মান্নান বক্তব্য দেন।
ড. রাজ্জাক আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী) আসন থেকে ২০০১ সালের পর টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নবম সংসদে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দশম সংসদে অর্থ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ২০১৮ সালের একাদশ সংসদে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় তার স্থান হয়নি।
জুলাই-আগস্টে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের পরিণতি এক দফা দাবির আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। আগের দিন ৪ আগস্ট আ.লীগের পক্ষে ড. রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আব্দুর রাজ্জাককে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এমপি-মন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানা ও মধুপুর থানায় ড. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। মামলা ও আটকের ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হলেন।