নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্যই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।
লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। দেশবাসী মনে করে, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) আনা হয়েছে। আপনাকে আনা হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য; দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকারকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তাদের বিচারের জন্য।
তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে আমরা এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না।
১২ দলীয় জোটের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। অবিলম্বে তার সকল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাকে দেশে এনে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক আলমগীর হোসেন প্রমুখ। এতে লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নিয়ামুল ইসলাম সিয়ামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।