সফলতার দুই বছর পেরিয়ে ১৬ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় দৈনিক কালবেলা। নতুন বাংলাদেশে বর্ণিল আয়োজনে দেশব্যাপী পত্রিকাটির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় দৈনিক সিলেট ব্যুরো অফিসেও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হয় কালবেলার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান কালবেলার সিলেট ব্যুরো প্রধান মিঠু দাস জয়। পরে সাংবাদিক জয়ন্ত কুমার দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একে একে বক্তব্য রাখেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
এসময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম জুলাই বিপ্লবে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, দৈনিক কালবেলা সাফল্যের সাথে ২ বছর পেরিয়ে ৩য় বছরে পদার্পণে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কালবেলা তার পথচলায় উপন্যাসের মতো করে মানুষকে আকৃষ্ট করছে। তারা আগামীতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে নতুন বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ বলেন, দেশকে গড়তে সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। একটি দেশকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে এবং দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। সবশেষে দৈনিক কালবেলা আগামীতে আরও সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, কালবেলা সাফল্যের সঙ্গে ২ বছর পাড়ি দেওয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করায় তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। এই দেশকে সুন্দরভাবে গড়তে কালবেলার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার এবং সমাজ বিনির্মাণে উন্নয়ন ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম সারির গণমাধ্যম হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবে অন্যান্য মিডিয়ার পাশাপাশি কালবেলাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এই অগ্রযাত্রা আরও দৃঢ় ও মজবুত হোক।
নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে জাতির বিবেক হিসেবে কালবেলা এগিয়ে যাবে। মানবতার জন্য কালবেলা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। কালবেলায় পরিবেশিত হবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, যাতে জাতির উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে, সর্বোপরি আগামীর বাংলাদেশ গড়তে কালবেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি কালবেলার সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, কালবেলা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে পাঠকের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মানুষের সমস্যা, সম্ভাবনা, সাফল্য অর্জনসহ অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। আমি চাই কালবেলা সবসময় জনমানুষের সমস্যা, সম্ভাবনার কথা তুলে ধরুক এবং দেশ ও জনগণের আস্থা অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট থাকুক।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরীর আমির ফখরুল ইসলাম বলেন, মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে কালবেলা সারাদেশে গ্রহণযোগ্য ও মানসম্মত দৈনিক প্রিন্ট পত্রিকায় পরিণত হয়েছে। এসময় তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রথমসারির কয়েকটি গণমাধ্যম নিজেদের সম্পাদকীয় নীতির বাইরে গিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে নেওয়ায় তারা লাঞ্ছিত হয়েছে। আমরা আশা করবো, বর্তমানের ন্যায় কালবেলা আগামীতেও সত্য এবং সুন্দরের পক্ষে কলম চালিয়ে যাবে।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ ও ন্যায়ের পথে দেশকে গড়তে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের জন্য শুভকামনা রইলো এবং তারা এই দেশকে গড়তে ও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পূর্বের তুলনায় আরও শক্তিশালী হয়ে কাজ করবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) বিএম আশরাফুল্লাহ তাহের বলেন, অতি অল্প সময়ে কালবেলা শহর থেকে গ্রামে সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সচেতন সমাজের দেশের কল্যাণে যে চিন্তা-ভাবনা তা তারা তুলে ধরবে। কালবেলা সামনে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করবে। স্বতন্ত্র ও সম্প্রীতি বজায় রেখে ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কালবেলা লিখে যাবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরের সভাপতি শরীফ মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, আমরা কোনো সাওয়াব ও পাপের কাজ করলে তা দুই কাঁধের ফেরেশতারা লিখে রাখেন। তেমনি দেশের চিত্র তুলে ধরা হয় সংবাদ মাধ্যমে। কালবেলা সফলতার সঙ্গে ২ বছর পেরিয়ে ৩ বছরে পদার্পণ করেছে। তারা সত্য ও ন্যায়ের সঙ্গে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিলেট জেলা সভাপতি মুফতি সাইদ আহমদ, সহ-সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান, আবু ছালেহ মো. নাছিম, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আল আজিজ লেলিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক লিয়াকত শাহ ফরিদী, মইন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবিদুর রহমান, সিলেট প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার তন্ময় দে চৌধুরী, সিলেট প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টমাস্টার লিটন রঞ্জন রায় তালুকদার, শাবিপ্রবির গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. পাবেল শাহরিয়ার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং অ্যান্ড গাইডেন্স ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. এমদাদুল হক।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি আল আজাদ, সিলেট মহানগর বিএনপির মাহবুব চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। সিলেট চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু, দৈনিক আধুনিক কাগজের সম্পাদক মইন উদ্দিন, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান চয়ন চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান সংগ্রাম সিংহ, আবৃতি শিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, সিনিয়র সাংবাদিক ফয়সল আহমদ বাবলু, বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড আবু জাফর, সিলেট ইন্টারন্যাশনার ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, সিলেট জেলা কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল জলিল খান।
আরও উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৪৮ সিলেট ব্যাটালিয়নের এনআইপি এনসিও না. মমিন, দৈনিক ইনকিলাবের সিলেট ব্যুরো প্রধান ফয়সাল আমীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি প্রভাষক মো. বুরহান উদ্দিন, জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন রেহান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রনি, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোশাহিদ আলম মুরাদ, সিলেট প্রধান ডাকঘরের পোস্টম্যান মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লিটন আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দল সিলেট মহানগরের যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজ খান সজিব, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, রুনু আহমদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নাইম হোসাইন, সাহিত্য সম্পাদক আ ফ ম সারোওয়ার, মাদ্রাসা ও মানবাধিকার সম্পাদক সৈয়দ আনহার আলী, এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান, সিলেট জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর মাইনুল জাকির, বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান টুটুল, মো. আব্দুস শহিদ, খালেদ আকবর চৌধুরী, সোহেল আহমদ ও মারুফ আহমদ টিপু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাবেদুর রহমান, ছাত্রদল নেতা রুম্মান আহমদ রাজু, মহানগর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদ, জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাইদ চৌধুরী টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবি কিরণ সিংহ রাজেশ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালেরকণ্ঠ ব্যুরো প্রধান ইয়াহইয়া ফজল, দৈনিক উত্তরপূর্বের চিফ রিপোর্টার তালুকদার আনোয়ারুল পারভেজ, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আজমল খান, নিউজ২৪ টিভি প্রতিনিধি নাজাত আহমদ পুরকায়স্থ, দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. আব্দুল হাছিব, চ্যানেল ২৪ টিভি সিলেট প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন শিমুল, সাংবাদিক মোশাহিদ আলী, রুম্মান আহমদ, আজমল হোসেন, সেলিম আহমদ, রেজা রুবেল, নওশাদ আহমদ চৌধুরী, দীঘেন সিংহ, টুনু তালুকদার, আমিনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিজু, মেহেদী হাসান অপূর্ব, কালবেলা কানাইঘাট প্রতিনিধি সুজন চন্দ অনুপ, বালাগঞ্জ প্রতিনিধি এসএম হেলাল, কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ, বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম সাজু, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাহাত হাসান মিশকাত ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আকিমুন হাসান রাফি।