দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উচ্চ মূল্য এবং পরাজিত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ও তার দলের অপতৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ত্রৈমাসিক সভায় খেলাফত মজলিস নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে তা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা জানি বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারকে পথ চলতে হচ্ছে। সংস্কার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুনের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা এসব খুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার শুরু করতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডসহ সব খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে হবে। বিগত স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলগুলোকে বয়কট করতে হবে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে রাষ্ট্রীয় সব ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতা সাধন, দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যাংক ঋণ সহজীকরণ এবং রেমিটেন্স আয়, ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রিল্যান্সিং, আইটি ও রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সব জিনিস সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সিন্ডিকেট দমন এবং বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, যুগ্মমহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক- অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক এএসএম খুরশীদ আলম, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক আহমদ আসলাম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, আলহাজ আবু সালেহীন, ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, অধ্যাপক আবু সালমান, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. আবদুর রাজ্জাক, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. জিল্লুর রহমান, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, মাওলানা মুশাহিদ আলী, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, হাফেজ জিন্নত আলী, হাজি নূর হোসেন, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা সাইদ আহমদ, মাওলানা নেহাল আহমদ, আলহাজ আবু আদিবা, হাফেজ নুরুল হক, মো. আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ।