সস্ত্রীক ওমরাহ পালন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৪ মে) এশার নামাজের পরে বিএনপি মহাসচিব ও তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম ওমরাহ পালন করেছেন।
রোববার (৫ মে) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহাসচিব স্যার শনিবার এশার নামাজের পর ওমরাহ পালন করেন। ওমরাহ পালনের যেসব আনুষ্ঠানিকতা আছে যেমন তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়ায় সাই করা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন করেছেন। মসজিদুল হারাম বা হারাম শরিফে ওনারা নামাজ আদায় করেছেন। মহাসচিব মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীরা জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে রহমত চেয়ে দোয়া করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি জানান, এখন (রোববার, ৫ মে) ওনারা মক্কায় আছেন। ওনারা মক্কায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানসমূহ যেমন, আরাফাত ময়দান, মিনা-মুজদালিফা, মোকামে ইব্রাহিম, জাবালে সাওর, জাবালে রহমত, জাবালে নূর, জমজম কূপ, মসজিদে নামিরা, মক্কা জাদুঘর, জান্নাতুল মোয়াল্লা প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থানে যাবেন। এরপর আগামীকাল (সোমবার) মক্কা থেকে জেদ্দা যাবেন।
আগামী ৮ মে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে শনিবার মাগরিবের নামাজের পরে বিএনপি মহাসচিব সস্ত্রীক মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছান।
গত ২ মে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছান। মদিনা পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শুক্রবার মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ আদায় করেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।
কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও অসুস্থ। কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান।
২০১৫ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে থাকাকালীন অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। সেবারও কারাগার থেকে মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।