বয়সের ভারে বেঁকে গেছেন তাম্বিয়াতুন নেছা। প্রায় দুজন বৃদ্ধ মানুষের বয়স একাই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, ১৩৫ বছর বয়সেও শারীরিকভাবে অনেকটাই ঠিক আছেন। কিছুটা ভুল হলেও চশমা ছাড়াই কোরআন পড়তে পারেন। রমজানে সবার সঙ্গে রোজা রাখেন। পাঁচ ওয়াক্ত তো বটেই, গভীর রাতে উঠে একা একাই পড়েন তাহাজ্জুদের নামাজ।
পরিবারের দাবি, এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ তাম্বিয়াতুন নেছা। সরকারের নথিতে বয়স ১২০ হলেও সেটাতে আপত্তি তাদের। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিয়ের ১০ বছরেও কোনো সন্তান হয়নি তাম্বিয়াতুননেছার। এরপর একটি কন্যা সন্তান হয়ে মারা যায়। আরও দুই বছর পর যে কন্যা সন্তান হয়, সেই লাইলীর বয়স ১০০ ছুঁইছুঁই।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের শেখশিমুল গ্রামের বাসিন্দা তাম্বিয়াতুন নেছা ৭ সন্তানের জননী। নাতি-নাতনি আছে ৭৫ জন। তাদের অনেকেরই বয়স ৭০-৮০। ৩২ বছর আগে মৃত্যুবরণ করা তাম্বিয়াতুননেছার স্বামী রিয়াজ উদ্দিন বৃটিশ ও পাকিস্তান আমল মিলিয়ে ৪২ বছর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে গর্ববোধ করেন তাম্বিয়াতুন নেছার নাতি-নাতনিরা।
তাম্বিয়াতুন নেছা ছেলে বলেন, আমার বাবা ১১০ বছরে মারা গেছেন। মা যতক্ষণ জেগে থাকেন ততক্ষণ তাসবিহ পড়েন।
তাম্বিয়াতুন নেছা চাইতেন, ওনার স্বামীর মতো তার বংশে আরেকজন জনপ্রতিনিধি হোক। দাদীর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম।
দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য দাদি আমাকে উৎসাহিত করেছেন। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন তিনি। জনগণ আমাকে স্বতস্ফূর্তভাবে আমাকে নির্বাচিত করেছেন।
১৩৫ বছর বয়সী তাম্বিয়াতুননেছা যেন আরও অনেক বছর বেঁচে থাকেন, দেশবাসীর কাছে সেই দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।