দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’।
মঙ্গলবার (২১ মে) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এ খবর জানিয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে, ঘূর্ণিঝড় হলে এর নাম হবে রেমাল। কোথায় আঘাত হানতে পারে তা স্পেসিফিক বলা যাচ্ছে না, নিম্নচাপ হওয়ার পর বলা যাবে কোনদিকে যাবে।
এদিকে এদিন সকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপশ্চিম ও আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবারের মধ্যে সাগরে লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের কাছ থেকে প্রাপ্ত নামের তালিকা থেকে সংস্থাটি নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে।
এবারর ‘রেমাল’ নামটি প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। ২০২০ সালের মে মাসেই ২০ তারিখে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বেশ বিধ্বংসী ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। তবে সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালে এই মে মাসেই ২৫ তারিখে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী আইলা।