এতদিন ধরে বেশি দামে ডিম বিক্রির অভিযোগ ছিল চট্টগ্রামের পাইকারি ডিম বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। একের পর এক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি আড়তকে বড় অংকের জরিমানা করার পর ডিম বিক্রি বন্ধও করে দিয়েছিল চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড। তবে এর মধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, প্রশাসন, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন তরুণদের দল ‘সিন্ডিকেট’ ভেঙে দিতে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি শুরু করেন। ব্যাপক সাড়া মেলে তাদের সেই উদ্যোগ। এতে কার্যত ভেঙে যায় সিন্ডিকেট, ডিম বিক্রেতাদের বিক্রিতেও ভাটা পড়ে।
অবশ্য হারানো সুনাম ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সংগঠনটি ভর্তুকি মূল্যে প্রায় ৬ হাজার ডিম বিক্রি করেছেন বলে দাবি করেছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম রাখা হয় ১২০ টাকা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, টেবিলের ওপর ডিমের সারি। সামনে মানুষদের দীর্ঘ লাইন। সবাই প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় কিনে ফিরছিলেন। বাজার হওয়ায় সেখানে মানুষের ব্যাপক সমাগম ছিল। এ কারণে আধা ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় সব ডিম।
কম দামে ডিম কিনতে পেরে মানুষদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। কেউ কেউ আবার বলেন, আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি করলে মাঝখানে মানুষদের এই দুর্দশা হতো না।
সেখানে ডিম কিনতে আসা মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা যে ডিমের দাম ১৭০-১৮০ টাকা করেছিল সেটি আগেই প্রমাণ হয়েছে। কেননা ছাত্ররা যদি খামার থেকে কিনে এনে ১৩০-১৪০ টাকায় ডিম বিক্রি করতে পারে ব্যবসায়ীরা কেন পারবে না। এখন ১২০ টাকায় ডিম পেলাম। ব্যবসায়ীরা যদি সবসময় মানুষের কথা ভাবেন, তাহলে দেশের মানুষের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর লিটন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা প্রথমদিন ৬ হাজার ডিম মানুষদের হাতে ভর্তুকি মূল্যে তুলে দিয়েছি। প্রতিজনকে আমরা ১২০টাকা দামে এক ডজন করে ডিম দিয়েছি। বাজার নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করব-এই দামে মানুষদের ডিম বিক্রি করতে।