নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সময় একটি কেন্দ্রের ভোট কক্ষে নিয়ম অমান্য করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় দুই প্রার্থীর দুইজন পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে কান ধরে ভোট কেন্দ্রের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে বন্দর রেললাইন এলাকায় ১৭ নম্বর ভোটকেন্দ্র ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলম চান বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আটক মনির হোসেন মিনু হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান শুভর পোলিং এজেন্ট হিসেবে বন্দর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। ভোট কক্ষে মোবাইল ফোন আনার বিষয়ে কান ধরে ক্ষমা চাওয়ার কথা জানান ওই পোলিং এজেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি ভুল করেছি তাই ক্ষমাও চেয়েছি।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি হাজী ইব্রাহিম আলম চান স্কুলের ভোট কেন্দ্র থেকে আরিফ নামে একজন পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ রশিদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই কেন্দ্রে একটি ভোট কক্ষের ভেতর মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে তাকেও আটক করা হয়।
দুই পোলিং এজেন্ট আটকের বিষয় নিশ্চিত করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষেধ সত্ত্বেও দুটি কেন্দ্রে দুই পোলিং এজেন্ট আইন ভঙ্গ করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় তাদের সাময়িকভাবে আটক করার কথা শুনেছি। ভোট কেন্দ্রে কোথাও কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।’
বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন- বর্তমান চেয়ারম্যান বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ (দোয়াত-কলম), সাবেক চেয়ারম্যান মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন (আনারস) এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (হেলিকপ্টার)।