এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৪৭১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩১৪ জনের।
দেশে গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, যা নিয়ে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৪৭১ জনে।
এইডিস মশাবাহিত এই রোগে নিয়ে বাংলাদেশে এক বছরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। চারবছর আগে ২০১৯ সালে ভর্তি হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল এবং ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চার জনের। এতে এ বছর মোট ৩১৪ জনের মৃত্যু হল।
এদিন সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৪০ জন, ঢাকা বিভাগে ২৩৭ জন, ময়মনসিংহে ৩১ জন, চট্টগ্রামে ২১৪ জন, খুলনায় ১৫৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৭ জন, রংপুর বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এসময়ে যারা মারা গেছেন তাদের দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রোববার পর্যন্ত এ বছর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬০ হাজার ৪৫ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪১১২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯১৬ জন এবং ২১৯৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩৭ হাজার ৫৬৭ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ হাজার ৯০৪ জন।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে, মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের।
নভেম্বরের প্রথম তিন দিনে ২৬৫৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।