প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের অনেক ভয়ংকর ঘটনা রয়েছে। তদন্ত শেষে যা বেরিয়ে আসবে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, কিছু অসহায়, বৃদ্ধ, অনাথ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ধরে আনতেন মিল্টন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেন। সে অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছিল। কিন্তু যাদের নাম করে টাকা এনেছেন, তাদের জন্য খরচ করেননি।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে। এক সাইকোপ্যাথ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে উঠলেন, তা বোধগম্য নয়। তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অপারেশন থিয়েটারের কথা স্বীকার করেছেন মিল্টন। যেখানে নিজেই কাটাছেঁড়া করতেন। সেসঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে ওই অসহায়দের পেটাতেন।
এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মানব পাচার আইনের আরেক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম।
গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে কালবেলা। এর পরই মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। একে একে উঠে আসে তার ভয়ংকর সব প্রতারণা আর অপকর্মের তথ্য।