ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের দাবিতে সায়মা আক্তার (২১) নামে তিন মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ।
এর আগে বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ির কাউকেই পায়নি পুলিশ।
জানা যায়, সায়মা আক্তার একই ইউনিয়নের বুগীর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার মেয়ে। যৌতুকের দাবিতে সায়মাকে মারধরের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান বড় ভাই শরিফুল ইসলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন বোনের মরদেহ পড়ে আছে খাটের ওপর। ওই সময় সায়মার স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কোনো লোকই ছিলেন না বাড়িতে। পরে থানায় খবর দেন শরিফুল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে ওসি রাজু আহমেদ বলেন, নিহতের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন সায়মার স্বামী কবির হোসেনসহ পরিবারের লোকজন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।