স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাওয়াদ চট্টগ্রামে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
জাওয়াদের মৃত্যুতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নীরবতা পালন করেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দুই দলের ক্রিকেটাররাই এক মিনিট নীরব থাকেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান দুই পাইলট। এর ফলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় মানুষজন।
দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা দুই পাইলটের মধ্যে আসিম জাওয়াদ (৩২) মারা যান। তিনি বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হন পাইলট সোহান। তিনি বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত।
মারা যাওয়া আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে। আসিম ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাশ করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।