ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে হামলা চালাতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে চার ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর এক সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ মে) সকালে গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- ইতাই লিভনি, ইউসেফ দাসা, এরমিয়াস মেকুরিয়াও এবং ড্যানিয়েল লেভি। তাদের সবার বয়স ১৯ বছর এবং চারজনই নাহাল ব্রিগেডের ৯৩১তম ব্যাটালিয়নের আওতায় ছিলেন।
টাইমস অব ইসরাইল বলছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানিয়েছে, জেইতুনের একটি সরু গলিতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে এই চার সেনা নিহত হন। মূলত তারা একটি স্কুলে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন। তাদের কাছে তথ্য ছিল হামাস যোদ্ধারা সেখানে নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেখানে স্কুলটি অবস্থিত সেটির পাশে একটি সুড়ঙ্গ ও অস্ত্র পাওয়ার দাবিও করেছিল দখলদার বাহিনী।
গাজা সিটির জেইতুনে যুদ্ধের শুরু থেকেই হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এমনকি সেখান থেকে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার দাবিও করে তারা। তবে যখনই ইসরায়েলি সেনারা সরে গেছে তখনই আবারও সেখানে ফিরে এসেছেন হামাসের যোদ্ধারা।
এদিকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়েছে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদ। পূর্ণ সদস্যপদের দাবিদার হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। সেখানে ইতিবাচকভাবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে সুপারিশ করা হয়েছে।
শুক্রবার সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। আর বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলসহ ৯টি দেশ। অন্যদিকে ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
সাধারণ পরিষদের এই ভোটের মধ্য দিয়ে অবশ্য জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পাবে না ফিলিস্তিন। তবে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে যুক্ত করার পক্ষে এটি একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা থাকবে।
শুক্রবারের ভোটের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, প্রস্তাব পাসই প্রমাণ করে বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে রয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইসরাইলের দখলদারির বিপক্ষে রয়েছে।
অপরদিকে এই ভোটের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এখন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে স্বাগত জানাচ্ছে। গেল মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির একটি প্রস্তাব উঠলে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দিলে তা খারিজ হয়ে যায়।