24 C
Dhaka
Thursday, November 21, 2024

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও আহত শিশুর পরিচয় মিলেছে

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া শিশুর পরিচয় মিলেছে।

শনিবার (১১ মে) রাত ১১টায় ভালুকা হাইওয়ে থানা পুলিশের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ওই মায়ের নাম জায়েদা (৩২)। তিনি সিলেট সুনামগঞ্জ জেলার দুয়ারা উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। বেঁচে যাওয়া দেড় বছর বয়সী শিশুটির নাম জাহিদ হোসেন।

তিনি জানান, কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ফারুক মিয়ার সঙ্গে নিহত জায়েদার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ফারুক স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিনের ছেলে। ফরুকের ঘরে প্রথম স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে। যে কারণে জায়েদার বিয়ে মেনে নেয়নি ফরুকের পরিবার। ফলে জায়েদার সঙ্গে তার স্বামীর যোগাযোগ না থাকায় স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে বসবাস করতেন। ধারণা করা হচ্ছে ঘটনার দিন রাতে তিনি রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।

আরো পড়ুন  জীবন বাঁচাতে মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যার্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

নিহত জায়েদার বড় ভাই মো. রবিন মিয়া বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জায়েদার মৃত্যুর খবর পাই আমরা। থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ নিতে আসবো। আমার বোনের দেড় বছর বয়সি শিশু ছেলের নাম মো. জাহিদ হোসেন।

এর আগে গত ৯ মে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় শিশুটিকে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন মা জায়েদা। এতে শিশুটি বেঁচে গেলেও তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। বতর্মানে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন  প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, অজ্ঞাত ‘মামা’ পলাতক

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ওই শিশু ও তার মা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। পরে-৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ওই শিশু ও তার মাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান মা মারা যান। তবে সেখানে আহত শিশুটির চিকিৎসা চলছে।

আরো পড়ুন  ‘এ দেশে মসজিদের মতো মন্দিরও পাহারা দিতে হবে না’

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ফারজানা বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফলে অবুঝ শিশুটি কান্নাকাটি করছে। তবে আমরা তার চিকিৎসা নিয়মিত মনিটরিং করছি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত শিশুর খোঁজখবর নিচ্ছি। আল্লাহর রহমতে শিশুটি সুস্থ আছে। ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মীরা তার দেখভাল করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ