গাজায় আগ্রাসনের মধ্যেই লেবাননের সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। বুধবার (১৯ জুন) ইরান সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমোদন দিয়েছে তেল আবিব। এর জবাবে ইসরাইল ও তাদের ‘সহযোগী’ সাইপ্রাসকে হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ। খবর সিএনএন’র।
টানা আটমাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন ৮৫ হাজারেরও বেশি।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পরই লেবানন সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি সেনাবাহিনী। দফায় দফায় এ সংঘাতে ইসরাইলের ১৫ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হিজবুল্লাহর ৩৪৩ সদস্য।
চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (১৮ জুন) ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম হাইফা শহরে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি তারা একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়। এর পরপরই হিজবুল্লাহকে ‘ধ্বংস’ করতে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয় তেল আবিব। এতে অনুমোদন দিয়েছেন আইডিএফের নর্দার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন ও অপারেশন ডিরেক্টরেটের মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর তাদের সীমান্তে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি সহ্য করবে না তারা।
ইসরাইলের এ হুমকির জবাবে বুধববার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলের কোনো জায়গাই নিরাপদ থাকবে না। হামলা সবখানে হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইপ্রাস তাদের সাহায্য করছে। তারা তাদের বিমানবন্দর ও বিভিন্ন ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে ইসরাইলকে। তাই তারাও হামলা থেকে রেহাই পাবে না।’