যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে গেটলক সার্ভিস। সড়কে চলছে দূরপাল্লার বাসগুলোর নিয়ম না মানার প্রতিযোগিতা। নিয়মের কথা জানেনই না বলছেন অনেক চালক-সহকারী। অন্যদিকে অনিয়ম চোখে পড়লেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পুলিশ।
ধুঁকতে থাকা গণপরিবহন শৃঙ্খলায় আনতে রোববার (১২ মে) থেকে শুরু হয়েছে গেট লক সার্ভিস। চলমান এই গেট লক রাখার নিয়মটি আপাতত আন্তঃজেলায় চলাচলকারী বাসগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। কথা ছিলো মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চেকিং হবে চার জায়গায়। প্রথমে কাকলী এরপর কুর্মিটোলা, খিলক্ষেত এবং সবশেষ আব্দুল্লাহপুরে। উদ্দেশ্য রাস্তায় যেন বাড়তি যাত্রী না ওঠায় বাসগুলো। তবে কে শোনে কার কথা। বাস্তবতা বলছে অনিয়মই যেন পরিণত হয়েছে নিয়মে। প্রশ্ন, কেন সম্ভব হচ্ছে না এই নিয়ম মানা?
সোমবার (১৩ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে বাস থামিয়ে চলছে ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি। দেখে কে বলবে মাত্র একদিন আগেই শুরু হয়েছে গেট লক সার্ভিস। অর্থাৎ যত্রতত্র তোলা যাবে না যাত্রী। কিন্তু এরপরও যেখানে সেখানে ওঠা-নামা করা হচ্ছে যাত্রীদের। এর জন্য চালক আর যাত্রীরা দায় চাপাচ্ছেন একে অন্যের ওপর।
এক যাত্রী জানান, বছরকে বছর যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা বাবা-মা শিখিয়ে গেছে। আর তাদের সন্তানরাও এভাবেই যায়। অল্প কিছু লোক টিকিট করে যায়।
এক বাসচালক বলেন, আগে সচেতনতা বাড়াতে হবে, যাতে সব যাত্রী বাসস্ট্যান্ড থেকে ওঠে। তাহলেই কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলা সম্ভব হবে।
এদিকে, নিয়মটি চালু হওয়ার প্রথম দিনই ২৩টি বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাসটার্মিনাল কেন্দ্রিক যে যানজট তৈরি হয়, সেটাই নির্মূলই আমাদের মূল লক্ষ্য। সাধারণত নির্ধারিত কাউন্টারের বাইরে যাত্রী ওঠা বা নামার কথা না। তাই আমরা এই জায়গায় কঠোর নজরদারি রাখবো। যাতে যত্রতত্র কোনো যাত্রী না ওঠে।