সমুদ্রের তলদেশ রক্ষা করছে গোস্ট শার্ক ও মান্তা রে। প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো কি মাছ নাকি অন্য কিছু! ভবিষ্যত মার্ভেল মুভির গল্পের মত শোনাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, এটিই প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌ প্রতিরক্ষার ভবিষ্যত হতে পারে।
গোস্ট শার্ক ও মান্তা রে এক ধরনের প্রোটোটাইপ, যা পানির নীচে সাবমেরিন হিসেবে কাজ করবে। তবে এই সাবমেরিন দুটিতে নেই কোন ক্রু বা চালক। এই উন্নত মানের ড্রোন সাবমেরিন যৌথভাবে তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সাবমার্সিবলগুলি সমুদ্রের তলদেশে যুদ্ধের ভবিষ্যতকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, যা মানুষের জীবনের বিপদ কমিয়ে দ্বিগুণ শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে।
সাম্প্রতিক সময়ে, আকাশযুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৯০’র দশকে শুরু হওয়া ইরাক ও আফগানিস্তানের সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিল ড্রোন। এছাড়াও ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধে উভয়পক্ষের জন্য ড্রোনগুলি অন্যতম সামরিক হার্ডওয়্যার হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনে-রাশিয়ার যুদ্ধে, কিয়েভ নৌ সারফেস ড্রোনও ব্যবহার করেছিল, যা রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের অনেক বড় ও ব্যয়বহুল জাহাজের ভারী ক্ষতি করেছে।
এরিয়াল ও সারফেস সি ড্রোনকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আলো ও রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু এগুলো সমুদ্রের গভীরতায় একইভাবে কাজ করে না।
সুইস জার্নাল সেন্সর-এ প্রকাশিত একটি ২০২৩ সালের সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে জলের নীচে যোগাযোগের জন্য আরও শক্তির প্রয়োজন হয়। তবে এখনও জলের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা এবং গভীরতাসহ বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
তবে সামরিক ড্রোনগুলোর নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা বলছেন না যে তারা কীভাবে যোগাযোগের সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠবেন। বিশেষকরে, ড্রোনগুলো যখন গভীর সমুদ্রে থাকবে।
তবে অস্ট্রেলিয়া যখন গত মাসে গোস্ট শার্ক উন্মোচন করেছিল, তখন এটি প্রোটোটাইপগুলোকে ‘ সমুদ্রের তলদেশে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত স্বায়ত্তশাসিত যান” বলে অভিহিত করা হয়।