গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোমল পানীয় কোকাকোলা এবং পেপসি বয়কটের ডাক ওঠে। বলা হচ্ছে, মার্কিন এই পণ্য দুটির সঙ্গে ইসরায়েলি মালিকানার যোগসূত্র রয়েছে। আর এই সময়ে কোমল পানীয় বাজারে আধিপত্য দেখাচ্ছে প্যালেস্টাইন কোলা।
ইউরোপের বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্যালেস্টাইন কোলার চাহিদা। মাত্র দুই মাসেরও কম সময়ে প্রায় ৪০ লাখ ক্যান বিক্রি হয়েছে।
কোকাকোলা এবং পেপসির বিকল্প হিসেবে প্যালেস্টাইন কোলা নামের পানীয়টি বাজারে এনেছিলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত সুইডিশ তিন সহোদর। আর বাজারে আসার মাত্র দুই মাসের মধ্যেই বাজিমাত করেছে এই কোমল পানীয়।
গেল রোববার (১২ মে) আবুধাবিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে এখন প্যালেস্টাইন কোলার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ইউরোপেও অসংখ্য রেস্তোরাঁ মার্কিন মালিকানাধীন পণ্য এড়িয়ে চলছে।
প্যালেস্টাইন কোলা কর্তৃপক্ষ দ্য ন্যাশনালকে জানিয়েছে, দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাদের অন্তত ৪০ লাখ ক্যান পানীয় বিক্রি হয়েছে।
মাত্র মাস ছয়েক আগে পেপসি ও কোকাকোলার বিকল্প হিসেবে প্যালেস্টাইন কোলা বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছিলেন সুইডেনের মালমোতে বসবাস করা তিন ভাই— হোসেইন, মোহাম্মদ এবং আহমদ হোসেন।
নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে প্যালেস্টাইন কোলাকে সামাজিকমাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ স্বাগতও জানিয়েছিল। এর ফলে বহু কোম্পানি পানীয়টি মজুত করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। প্যালেস্টাইন কোলার ক্যানের নকশাটিও বেশ প্রশংসা কুড়ায়।
ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত সুইডিশ তিন সহোদরের লক্ষ্য, ফিলিস্তিন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য দাতব্য সংস্থাগুলোর পাশে দাঁড়ানো।
এদিকে, প্যালেস্টাইন কোলার উদ্যোক্তারা সুইডেনে দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও করছেন, যার নাম হবে সাফাদ ফাউন্ডেশন। এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা তহবিল ফিলিস্তিনের সাহায্য প্রকল্পগুলোয় দান করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।