25 C
Dhaka
Thursday, February 6, 2025

আবারও চমক দেখিয়ে প্রযুক্তির এলিট ক্লাবে ঢুকল ইরান

লোকমুখে বেশ প্রচলিত শাপে বর হয়ে আসা প্রবাদটি। বিশ্ব রাজনীতিতে এই প্রবাদের যথার্থ প্রয়োগ যদি দেখতে চাওয়া হয় তাহলে তাকাতে হবে মধ্যপ্রাচ্যের পরাশক্তি ইরানের দিকে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলেও দিন দিন নিজেকে আরও সমৃদ্ধ আর উন্নত করে যাচ্ছে তেহরান। চিকিৎসা, প্রযুক্তি আর সমরাস্ত্রে পশ্চিমাদের চোখে চোখ রেখে অনায়াসেই তর্ক করার সক্ষমতা রয়েছে ইরানের। এমন অবস্থায় স্বনির্ভর প্রযুক্তি খাতে আরও এক চমক নিয়ে হাজির হয়েছে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি।

আরো পড়ুন  ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা: কোন দল কয়টিতে জয় পেল

সমরাস্ত্র আর চিকিৎসা খাতে নিজস্ব উদ্ভাবনি চমক দেখানোর পর এবার লোকোমোটিভ ডিজেল ইঞ্জিন তথা রেলইঞ্জিন প্রস্তুতকারক দেশগুলোর তালিকায় নাম লিখিয়েছে ইরান।

দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই ইঞ্জিন তৈরি করেছে। ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজস্ব প্রযুক্তিতে চার হাজার হর্স পাওয়ারের এ লোকোমোটিভ ডিজেল ইঞ্জিনটি তৈরি করেছে ইরানের এমএপিএন হোল্ডিং গ্রুপ।

ইরানের আলবুর্জ প্রদেশের ফারদিসে ইরানের শিল্প, খনিজ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্বাস আলিয়াবাদি এবং ইরানের রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী মিয়াদ সালেহির উপস্থিতিতে রেলইঞ্জিনটির উদ্বোধন করা হয়।

আরো পড়ুন  ৭০০ বছর পুরোনো গির্জাকে মসজিদ বানালেন এরদোয়ান

এমপি-৬১০ নামের এই রেলইঞ্জিনটি এমপি-৬১০ নামের এই ইঞ্জিনটির কারিগরি নকশা ও উৎপাদনে যুক্ত ছিলেন এমএপিএনএ ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের ইরানি প্রকৌশলীরা।

ইঞ্জিনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী মিয়াদ সালেহি আশা প্রকাশ করেন, ইরানের রেল খাতে যে সমস্যা আছে তা দূর করার জন্য এ ধরনের ইঞ্জিন প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হবে।

মিয়াদ সালেহি জানান, ইরানে রেলইঞ্জিন প্রস্তুতকারী কোম্পানির সংখ্যা ১০টি। তবে এমএপিএনএ হোল্ডিং গ্রুপই একমাত্র ইরানি প্রতিষ্ঠান যারা নিজস্ব প্রযুক্তিতে ইঞ্জিন তৈরি করে।

আরো পড়ুন  এবার দুবাইয়ের রাজকুমারীর আরেক কাণ্ড, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়

তিনি আরও জানান, ইরানের আরও ৩০০টি মালবাহী ও যাত্রীবাহী ইঞ্জিনের প্রয়োজন এবং দেশটিতে বর্তমানে মালবাহী লোকোমোটিভের সংখ্যা ৩৫০টি।

ইরানের রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী জানান, তাদের আরও ৩০০টি মালবাহী এবং যাত্রীবাহী রেলইঞ্জিনের প্রয়োজন। বর্তমানে ইরানের কাছে ৩৫০টি মালবাহী লোকোমোটিভ ইঞ্জিন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ