হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ নিয়ে মূলধারার বিভিন্ন গণমাধ্যম ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমেও ছড়িয়েছে নানা ধরনের তথ্য। ইরান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত না করলেও, এ দুর্ঘটনায় রাইসি ‘মারা গেছেন’ বলেও দাবি করছে অনেকে। আর কথিত এমন খবরকে ‘স্বাগত’ জানিয়ে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াল্টজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন,
দারুণ পরিত্রাণ। রাইসি তার প্রেসিডেন্সির আগে এবং সময়কালে একজন খুনি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন,
সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার আরেকটি অজুহাত হিসেবে ইরান এখন হত্যার জন্য (রাইসিকে) ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দোষ চাপাবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার (১৯ মে) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারেরও।
এ দুর্ঘটনা নিয়ে এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টারের সম্ভাব্য বিধ্বস্তের ঘটনার খবর দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।’
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।’
এদিকে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের বিষয়ে তেল আবিব কী ভাবছে- তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়ে ইরানের দেয়া প্রতিবেদনগুলো ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে ইসরাইল।
এতে আরও দাবি করা হয়, পশ্চিমাদের মতো ইসরাইলেও জল্পনা রয়েছে যে, ‘রাইসি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন’।
এ ঘটনায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াইনেট নিউজ বলছে, ‘ইরানে রোববার (১৯ মে) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সঙ্গে ইসরাইলের কোনো সম্পর্ক নেই।’
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, রাইসি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের ‘সম্ভাব্য মৃত্যু’ ইরানের প্রতি ইসরাইলের নীতিকে প্রভাবিত করবে না বলে আশা করা হচ্ছে।