হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা ও দাফনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে এ আনুষ্ঠানিতকা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা তাসনিম ও আনাদোলু।
ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের বরাতে তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি তার সঙ্গে নিহত সফরসঙ্গীদেরও তাবরিজে দাফন করা হবে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তার মৃত্যুতে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছে ইরান।
সোমবার (২০ মে) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শোক ঘোষণা করেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ নিহত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, রাইসি একজন কঠোর পরিশ্রমী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি তার জীবন ইসলাম ও ইরানের জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
গত শনিবার (১৮ মে) আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, রাইসি ও আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারের সব যাত্রী মারা গেছেন।