লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। দলগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটার না থাকলেও কয়েকটি কুকুর দেখা গেছে। এ কেন্দ্রে ৩ ঘণ্টায় পড়েছে মাত্র ১৯টি। পার্শ্ববর্তী সুন্দ্রাহবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট পড়েছে ২৮টি।
মঙ্গলবার (২১মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার মোফাখুরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ এখন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তাই ভোটার একটু কম রয়েছে। তবে বেলা বাড়লে ভোটার বাড়বে বলেও ধারণা করছি।’
লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বলেন, ‘সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। এ ছাড়া প্রার্থীরা ভোটার ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অটোসহ বিভিন্ন যানবহনে নিয়ে এসেছে।’
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের মধ্যেই। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন তারিকুল ইসলাম ওরফে তুষার। এবারের ভোটযুদ্ধে আপন চাচা-ভাতিজার মধ্যে বাঘের সিং ন্যায় লড়াই হতে পারে বলে দাবি সাধারণ ভোটারদের।