সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তীব্র ঝাঁকুনির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এয়ার টার্বুলেন্সের কবলে পড়া লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী উড়োজাহাজ ৫ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ১৭৮ ফুট বা ৫৪ মিটার নিচে নেমে যায়।
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুরভিত্তিক তদন্তকারী সংস্থা ‘দ্য ট্রান্সপোর্ট সেইফটি ইনভেস্টিগেন ব্যুরো’ (টিএসআইবি)-এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তীব্র ঝাঁকুনিতে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েকজন। বিমানটি লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথে হঠাৎ এয়ার টার্বুলেন্সের কবলে পড়ে। আহত যাত্রীদের মধ্যে ২০ জনের বেশি মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন। পরে এটি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে। আকস্মিক ওই দুর্ঘটনার কয়েক দিন পর অবশেষে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ফ্লাইটটি চার দশমিক ছয় সেকেন্ডে, প্রায় ১৭৮ ফুট বা ৫৪ মিটার নিচে নেমে যায়। এতে উড়োজাহাজটিতে বেশ ঝাঁকুনি হয়। টিএসআইবির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইটটি স্বাভাবিকভাবেই ফ্লাই করছিল। মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় এটি ৩৭ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ১৭৮ ফুট নিচে নেমে যায়। আর এ কারণেই ক্রু এবং যাত্রীরা আঘাত পেয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস জানায়, বোয়িং ৭৭৭–৩০০ইআর উড়োজাহাজটিতে ২১১ জন যাত্রী ও ১৮ জন ক্রু ছিলেন। লন্ডন থেকে ছেড়ে আসা উড়োজাহাজটির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝাঁকুনিতে বিমানটি কাত হয়ে যায় এবং কাঁপতে থাকে।
ঝাঁকুনির ঘটনার প্রায় ১৭ মিনিট পর পাইলটরা ওই বিমানটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। কেবিন ক্রুরা যাত্রীদের আহত হওয়ার বিষয়টি পাইলটদের জানানোর পর ফ্লাইটটি ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেয়।
আহত যাত্রী ও ক্রুদের হাসপাতালের ব্যয় বহন এবং তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।