ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে স্ত্রী পরিচয়ে ভারতে নিয়ে যান।
সোমবার (৩ জুন) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন শিলাস্তি রহমান। স্বীকারোক্তি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় শিলাস্তিকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় গত ২২ মে মামলাটি দায়ের করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার অভিযোগে ডরিন উল্লেখ করেছেন, আমরা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেলে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার ফোন বন্ধ পাই।
এরপর গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
বিভিন্ন জায়গায় বাবাকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।
এদিকে, আনারকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আদালত। সিয়াম বর্তমানে নেপালে অবস্থান করছে।